মাত্র দেড়মাস আগে কেবল ভক্তরা নয়, কেবল গোদি মিডিয়া নয়, আমজনতার মুখেও শুনেছি আয়েগা তো মোদি হি। সংসদের শেষ অধিবেশনের কথা ভাবুন, দেশের প্রধানমন্ত্রী গোল সেট করে দিয়েছিলেন বিজেপি ৩৭০, এনডিএ ৪০০ পার। সঙ্গে সঙ্গে সবক’টা ন্যাশনাল টিভি চ্যানেল আর পত্রিকাতে আলোচনা শুরু হয়েছিল কোন হিসেবে এই অঙ্কে বিজেপি পৌঁছে যেতে পারে। কেউ কেউ লজ্জাশরমের কথা মাথায় রেখে বলেছিলেন অত নয় কিন্তু কাছাকাছিই কিছু একটা হবে আর বাকিরা ৪১৪ পর্যন্ত হেঁকে বসেছিলেন। আজ মিডিয়াতে আলোচনা হচ্ছে হাওয়া কি ঘুরছে? আলোচনা হচ্ছে বিজেপি কি একক গরিষ্ঠতা পাচ্ছে? সোশ্যাল মিডিয়াতে ঠিক এই মুহূর্তে ৭০ শতাংশ মিম বিজেপি, অমিত শাহ নিয়ে। হচ্ছেটা কী? ২০১৪, ন্যারেটিভ কে সেট করছিল? সে দুর্নীতিই হোক, কালা ধন হোক, মহেঙ্গাই হোক, বেরোজগারি হোক, এজেন্ডা সেট করছিল বিজেপি, আরও ভালো করে বলা উচিত এজেন্ডা সেট করছিলেন মোদিজি। আর উল্টোদিকে এক নড়বড়ে কংগ্রেস আর পাপ্পু রাহুল গান্ধী। বামেরা আলাদা লড়ছে, তারা তো তখনও সমদূরত্ব থিওরিতেই আছেন। অন্যান্য আঞ্চলিক দলের নেতারা হঠাৎ উঠে আসা এই চায় পে চর্চার সামনে নার্ভাস। দক্ষিণ তখনও ছিল না এখনও নেই, উত্তর ভারতে এই বাংলা বাদ দিলে ভেসে গিয়েছিল সবক’টা রাজ্য। চলুন ২০১৯-এ, আরও তীক্ষ্ণ মোদিজি, ব্র্যান্ড মোদি, হাতিয়ার পুলওয়ামা, শহীদের লাশ আর বালাকোট সার্জিকাল স্ট্রাইক, যুদ্ধ জয়ের খবর চারিদিকে। যে রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীতে রিক্রুট হয়, সেখানে ক্লিন সুইপ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক এমনকী বিহার। উত্তরপ্রদেশেও সামান্য কমলেও সিংহভাগ আসন তো বিজেপিই জিতেছিল। জনসভায় মোদিজি যাচ্ছেন ভিনি ভিডি ভিসি। হিন্দুত্ব তো হাতের তাস আর তার সঙ্গে জঙ্গি জাতীয়তাবাদের কষা মাংস, হিট মুভি। উনিই এজেন্ডা সেট করছিলেন, ওনার তৈরি করা ন্যারেটিভেই বিরোধীরা কুল সামলাতে পারছিল না।
ওদিকে রাহুল বললেন চৌকিদার চোর হ্যায়, এধারে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্লোগান ম্যায় ভি চওকিদার হুঁ। কিন্তু সেই খেলা হঠাৎ উধাও। এখন বিরোধীরা একের পর এক ন্যারেটিভ সেট করছে, মোদিজি রিঅ্যাক্ট করছেন। প্রথম দফা ভোট শেষ না হতেই কী এমন হল যে মোদিজি বিশ্বগুরু, বিকাশ, উন্নয়ন, লাভ্যার্থী, ৫ কিলো আনাজ সবছেড়ে মঙ্গলসূত্র আর মোষ নিয়ে পড়লেন? ১০ বছর রাজত্বের পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী যিনি নিজেই বলেছেন এবারে কেবল তাঁর দলই পাবে ৩৭০টা আসন তিনি সভায় সভায় বলছেন যে যদি কংগ্রেস আসে, তাহলে মা বোনেরদের মঙ্গলসূত্র কেড়ে নিয়ে যাবে সংখ্যালঘু মুসলমানেরা, যদি রাহুল গান্ধী ক্ষমতায় আসে তাহলে আপনার দুটো মোষের একটা কেড়ে নিয়ে তাদের দেবে যাদের অনেক বাচ্চাকাচ্চা হয়। কতগুলো হয়? মোদিজি নিজেই তো ছয় ভাইবোন। জোকস অ্যাপার্ট, দেশের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, যদি কংগ্রেস আসে তাহলে রামমন্দিরে তালা পড়ে যাবে। দুটো জিনিস বেরিয়ে আসছে, এক তিনি টের পেয়েছেন যে তাঁর দল হেরে যেতে পারে, বিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে পারে। দুই, তিনি আর তাঁর বিকাশ, উন্নয়ন, স্বচ্ছ ভারত ইত্যাদিতে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। কেন? মাত্র ক’দিন আগে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে ওরকম জয়ের পরে হঠাৎ এরকম হাওয়াটা উঠল কোথা থেকে? আর কেন উঠল? এর উত্তর লুকিয়ে আছে বিজেপির উত্থানের সঙ্গে।
বিজেপি লড়ছিল তো বহুদিন ধরেই, ক্ষমতায় এল তখন, যখন বিজেপি বিভিন্ন আঞ্চলিক দলগুলোকে তাদের সঙ্গে নিয়ে চলা শুরু করল। সেই দিনগুলোর কথা ভাবুন। বাংলাতে মমতা, ওড়িশাতে বিজেডি, অসমে অসম গণ পরিষদ, বিহারে জেডিইউ, রামবিলাসের এলজেপি, পঞ্জাবে আকালি দল, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, অন্ধ্রে তেলুগু দেশম, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে, এমনকী কাশ্মীরে মেহবুবা মুফতির পিডিপি। আচ্ছা এই দলগুলোর সঙ্গে কে যোগাযোগ রাখতেন? কারও সঙ্গে প্রমোদ মহাজন, কারও সঙ্গে আদবানিজি নিজেই, কারও সঙ্গে সুষমা স্বরাজ, অটলবিহারীজি তো ছিলেনই। লক্ষ্য ছিল কংগ্রেসকে মুছে দেওয়া, অনেকটা পেরেওছিলেন, শেষে হারলেন, তারপরে মিলিজুলি সরকার তৈরিও হল। সেই মনমোহনের সরকার চলেছিল ১০ বছর কিন্তু লাগাতার বিরোধিতা হয়েছে. ২০১৪ এনডিএ-র দায়িত্ব নিচ্ছেন অমিত শাহ, বুঝেছিলেন, আরও আরও ঘোড়া চাই। আরও দল চাই, না হলে যুদ্ধ জেতা যাবে না। ২৪ দলের এনডিএ তৈরি হল। ফলও পেলেন, ২০০৯-এর ১১৬টা এমপি ছিল বিজেপির, এবার বেড়ে ২৮২, সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে ১০টা বেশি। তৃণমূল অবশ্য এর আগেই এনডিএ থেকে বেরিয়ে গেছে। ২০১৯-এ ২১টা দলের এনডিএ, বিজেপি ৩০৩, রাস্তা পরিষ্কার, বিজেপির ধারণা হল বা বলা ভালো নতুন নেতা বোঝালেন উই আর ইনভিন্সিবল। এবার বলি দেওয়ার পালা। বলি দেওয়া শুরু হল। ১৯৯৯ বিজেপি ক্ষমতায়। প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। কোন কোন দলের কারা কারা মন্ত্রী হলেন? ডিফেন্স মিনিস্টার জর্জ ফার্নান্ডেজ, রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমার, শ্রমমন্ত্রী শরদ যাদব, খনি মন্ত্রক নবীন পট্টনায়েকের হাতে। কিছুদিন পরে সে দফতর পেলেন রামবিলাস পাসোয়ান। সিভিল অ্যাভিয়েশন মন্ত্রীও হয়েছিলেন শরদ যাদব। রামবিলাস পাসোয়ান, তথ্য সম্প্রচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক। মনোহর জোশি, সুরেশ প্রভুর মতো শিবসেনা নেতারাও পেয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: Aajke | দিলীপবাবু, ইট ছুড়লে পাটকেলের জন্য তৈরি থাকুন
এবার দেখুন নরেন্দ্র মোদির প্রথম মন্ত্রিসভা। ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে তিনজন শরিককে বাছা হল, ফুড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশনে রামবিলাস পাসোয়ান, টিডিপি-র গজপতি রাজু পেলেন সিভিল অ্যাভিয়েশন, টিডিপি বেরিয়ে যাওয়ার পর শিবসেনার সুরেশ প্রভুর হাতে ওই দফতর দেওয়া হয়। শিবসেনার অনন্ত গীতে পেয়েছিলেন ভারি শিল্প মন্ত্রকের দায়িত্ব। ২৬ জনের বাকি ক্যাবিনেটে ওই তিন জনই ছিলেন শরিক দল থেকে, বাকিরা বিজেপি। ১১ জন রাষ্ট্রমন্ত্রী পূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, প্রত্যেকেই বিজেপি। যৌথ দায়িত্বে রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন ৩২ জন, তার মধ্যে অপনা দলের অনুপ্রিয়া প্যাটেল আর অন্য জন রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার রামদাস অটাওয়লে, ব্যস। বাকি ৩০ জন বিজেপির। মোট ৭১ জন মন্ত্রিভার ৬৬ জন বিজেপির, ৫ জন শরিক দলের।
এবার আসুন ২০১৯-এর এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদির বিদায়ী মন্ত্রিসভার দিকে চোখ রাখি, এই মুহূর্তে মোদি মন্ত্রিসভায় ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে শরিক দলের আর কেউ নেই, পূর্ণ দায়িত্বে রাষ্ট্রমন্ত্রীও নেই। যৌথ দায়িত্বে রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আছেন রামদাস আটাওয়লে, যিনি রোজ নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে শায়রি মানে কবিতা লেখেন। মিনিস্ট্রি অফ স্যোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজেপির থওর চাঁদ গেহলট ওই দফতরের ক্যাবিনেট মন্ত্রী।
এরমধ্যে বিজু জনতা দল বেরিয়ে গেছে, শরদ যাদব বেরিয়ে গেছেন, শিবসেনা আর অকালি দলও বেরিয়ে গেছে। বিজেপি যে তাদের পায়ে ধরে খুব সেধেছে তাও নয়, বেরিয়ে যাচ্ছ? যাও। এরকম একটা মনোভাব। কেন? তার কারণ সে সব দলকেও ভেঙেচুরে কিছু ঘোড়া ঘরে এসে গেছে, তাদের কাজ ফুরিয়েছে, এবার থাকলেই বা কী, না থাকলেই বা কী? এটাই বিজেপি। বিহারের দিকে তাকিয়ে দেখুন, পাল্টিকুমার নীতীশ কুমার, বয়স আর কাজে, দু’ধার থেকেই আর পারছেন না। নীতীশ কুমারের দলে ওনার মাপে একজনও নেই, নীতীশ গেলে সে বাজারের দখলদারি বিজেপির। রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ, এখনও কিছুই প্রমাণ করতে পারেননি, পারবেন বলে মনেও হয় না। ওড়িশার দিকে তাকান, নবীন পট্টনায়কের পরে কেউ নেই, ওখানে বিজেপি-কংগ্রেস লড়াই হবে কিছুদিন পরে, আপাতত বিজেপি-বিজেডি। কেরালা, সিপিএম-কংগ্রেস জাতীয় রাজনীতিতে বন্ধু, রাজ্যে শত্রু, ফায়দা বিজেপির। পঞ্জাবে অকালি দল তার মাস বেস হারিয়েছে, হারাচ্ছে, খুব দ্রুত, ফায়দা বিজেপির।
মানে যে ঘোড়ার পিঠে চড়ে বিজেপি যুদ্ধ করতে বেরিয়েছিল, সে যুদ্ধ শেষে, ঘোড়ারা বুড়ো, কাজের নয়, অতএব তাদের বলি দেওয়াটা কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। এখন এনডিএ-র শরিকরা বাধ্যতামূলকভাবে বিজেপির দর্শনেরও শরিক, তারাও জয় শ্রীরাম বলতে বেশি পছন্দ করেন। আমরা ফার্নান্ডেজকে দেখিনি লোকসভার ভাষণ শেষ করার পর জয় শ্রীরাম বলতে, রামদাস আটাওয়লে বলেন। এ ঘোড়াও যে কোনওদিন প্রথমে বাতিল, পরে বলির উপযুক্ত হয়ে উঠতেই পারে। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি ক্রমশ নিজেকে একলা করেছে, সংসদে দাঁড়িয়েই বলেছেন, তাঁরা ৩০৩ থেকে ৩৭০ হচ্ছেন আর শরিকরা মাত্র ৩০। এবার নির্বাচনের প্রচার শুরু হল। বাংলাতে নরেন্দ্র মোদি ক’টা সভা করবেন? যতগুলো করবেন তার ১০ গুণ কি তারও বেশি করবেন মমতা। বিহারে তেজস্বী চরকির মতো ঘুরছেন, বিহারের মানুষ নরেন্দ্র মোদির কথা শুনছেন, আরেকবার আসার আগে তেজস্বী বলছেন ৭-৮ বার, প্রত্যেকটা কথার জবাব দিচ্ছেন। একই অবস্থা মহারাষ্ট্রে, তেলঙ্গানাতে, কর্নাটকে, তামিলনাড়ু আর কেরালার কথা বাদই দিলাম। পঞ্জাব, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অন্ধ্রতেও একই ছবি। বিজেপির প্রথম থেকে দশম বক্তা ওই মোদিজি, আর বিরোধীদের এক এক জায়গায় এক এক জন তুখোড় নেতা। তাঁরা স্থানীয় ভাষায় কথা বলছেন আর উনি চোলায় চোলায় বাজবি জয়ের ভেড়ি। নিজেকে লার্জার দ্যান লাইফ করে তুলেছিলেন মোদিজি। প্রথম দফা ভোটের পরেই বুঝতে পারছেন কানেক্ট করতে পারছেন না। মমতা বাংলা ছেড়ে কোথাও যাচ্ছেন না, তেজস্বী বিহারেই পড়ে আছেন, শরদ উদ্ধব মহারাষ্ট্রে, রেভন্ত রেড্ডি তেলঙ্গানায়, গেহলট পাইলট রাজস্থানে, বাঘেল ছত্তিশগড়ে, শিবকুমার সিদ্দারামাইয়া কর্নাটকে। অতএব তিনি খেই হারাচ্ছেন, হঠাৎই বুঝেছেন সপ্তরথী ঘিরে ধরেছে চারদিক থেকে। এবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো দিল্লির মাঠে পঞ্জাবের মাঠে কেজরিওয়াল।
কাজেই একটা নতুন কথাও মোদিজি বলতে পারছেন না, তিনি নার্ভাস, তা বুঝেছে দেশের মানুষ, অবশ্যই বুঝেছে মিডিয়া। কাজেই সেখানেও টার্নিং। ঠিক এই পর্যন্ত শোনার পরে ভাবুন যদি মোদিজির হাতে বিভিন্ন রাজ্যে একগুচ্ছ আঞ্চলিক দলের নেতারা থাকতেন, তাহলে কি এটা হত? হত না, আসলে বিজেপিকে গ্রাস করছে এক বিকট রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা। হাওয়া ঘুরছে তার প্রথম কারণ হল এই রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতা। দুই হল নরেন্দ্র মোদির নিজের তৈরি ইমেজ। বিজেপি তো কোনও আলাদা সংগঠন নয়, আরএসএস-এর রাজনৈতিক শাখা। মানে ঘোড়ার ল্যাজ বা ঠ্যাং, মাথা নয়, ঘোড়া হল ওই আরএসএস। কিন্তু মোদিজি সেই স্ট্রাকচারটাকেও ভেঙে চুরমার করেছেন, দলের যাবতীয় যৌথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রসেস, সেগুলো ভেঙে দিয়ে নিজেকে সেখানে বসিয়েছেন, তার ফায়দা বিজেপি পেয়েছে, কিন্তু সেই লার্জার দ্যান লাইফ স্ট্রাকচার তো একটা পার্সেপশন, ধারণা, বাস্তবে তো নয়। কাজেই চারিদিকে বিস্তর ফাঁকফোকর তৈরি হয়েছে। কাউন্সিলররাও আশা করেন মোদিজি জিতিয়ে দেবেন। দলের একমাত্র নেতা, একমাত্র মসিহা মোদিজি। এখন ল্যাজ ঘোড়াকে নাড়ানোর চেষ্টা করছিল, যা হওয়ার তাই হয়েছে। দুধারেই শত্রু তৈরি হয়েছে, ভিতরে এবং বাইরে। আজ নির্বাচনের সময় হঠাৎ সেগুলো সামনে এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র। আর তার ফলে যা হয় তাই হয়েছে, মুখ ফসকে কী বের হচ্ছে নিজেও জানেন বলে মনে হয় না। দুনিয়ার মানুষ জানে আদানি, আম্বানির খেলা, মোদিজির সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক, এই দশ বছরে তাঁদের উত্থান। আজ তারা নাকি টেম্পোতে করে কোটি কোটি কালো টাকা নিয়ে রাহুল গান্ধীকে দিয়েছেন। বিজেপির লোকজনও থ মেরে গেছে, কী বলছে রে? আসলে হাওয়া ঘুরছে, মোদিজি টাল সামতে পারছেন না।